ঢাকা , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি
আমরা সারা বাংলাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দিচ্ছি।
শিরোনাম
গ্যাংগ্রিন আক্রান্ত অলিয়ারের পাশে খালিশপুর থানা যুবদল। বকুলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা। খুলনা-৩ আসনে আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের অঙ্গীকার। রকিবুল ইসলাম বকুল। ছাত্রদল নেতা শাওনকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার। সত্য জানার ও পাশে দাঁড়ানোর আহবানঃ আমানউল্লাহ আমান। খানজাহান আলী থানা যুবদলের উদ্যোগে সড়ক পরিষ্কার কর্মসূচি রাকসুর ইতিহাসে প্রথমবার ভিপি পদে নারী প্রার্থী তাসিন খান আগামীর বাংলাদেশ ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে মুখোমুখি – খুলনা মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রুবেল। খানজাহানআলী থানার যোগিপোল ইউনিয়নে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন। মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: জাতীয় বার্ন থেকে ছাড়পত্র পেলেন শিক্ষিকা নিশি উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় কিডনির ওপর বাড়ে বাড়তি চাপ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি

মৃতের জন্য টাকা দিয়ে কুরআন খতম করানো জায়েজ?

প্রশ্ন: আমাদের সমাজে লোকজন অধিকাংশ সময় হুজুরদেরকে খতম পড়ার জন্য দাওয়াত করে আনে, খতম করার পর তাদেরকে খাওয়ায় এবং টাকা পয়সাও দেয়। এমন করা কি জায়েজ?

উত্তর: প্রচলিত খতমে কুরআন পাঠকারীদের খাবার খাওয়ানো এবং টাকা পয়সা দেওয়া বিদআত ও নাজায়েজ। এভাবে কুরআন তেলাওয়াত করার দ্বারা না পাঠকারী কোনো সওয়াব পায় আর না মৃতব্যক্তিরা।

ফাতাওয়া শামীতে রয়েছে- অর্থ: তাজুশ শরিয়াহ হেদায়াতে লিখেন, বিনিময় নিয়ে কুরআন পড়ার দ্বারা কোনো সওয়াবই হয় না। না মৃতব্যক্তি সওয়াব পায়, আর না তেলাওয়াতকারী।

আল্লামা আইনী হেদায়ার ব্যাখ্যাগ্রন্থে লেখেন, দুনিয়া তলব করার কারণে তেলাওয়াতকারীকে এমন তেলাওয়াত থেকে বারণ করা হবে। এভাবে তেলাওয়াত করার বিনিময় দেওয়া হলে গ্রহীতা ও দাতা উভয়ে গুনাহগার হবে।

মোটকথা, আমাদের সমাজে বিনিময় গ্রহণ করে কুরআন তেলাওয়াত করার যে রেওয়াজ চালু হয়েছে তা জায়েজ নয়। কারণ, এর মধ্যে খতমের আয়োজনকারী বা তার আত্মীয়ের জন্য সওয়াব পাঠানো উদ্দেশ্য হয় এবং তেলাওয়াতকারী তেলাওয়াত করে টাকার জন্য।

টাকার জন্য তেলাওয়াত করায় তেলাওয়াতকারী নিজে কোনো সওয়াব না পেলে ভাড়া গ্রহণকারীকে সওয়াব দেবে কোত্থেকে?

বর্তমান সময়ে কুরআন তেলাওয়াত করার বিনিময় না দিলে সাধারণত কেউ তেলাওয়াত করবে না। কুরআনকে তারা উপার্জন এবং দুনিয়া কামানোর মাধ্যম বানিয়ে ফেলেছে।  আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।  ইন্নালিল্লাহ। (ফাতাওয়া শামী ৬/৫৬)

দারুল উলুম দেওবন্দ, ফতোয়া নং: ১৮৩৬০১

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

গ্যাংগ্রিন আক্রান্ত অলিয়ারের পাশে খালিশপুর থানা যুবদল। বকুলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা।

মৃতের জন্য টাকা দিয়ে কুরআন খতম করানো জায়েজ?

প্রকাশিত : ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫

প্রশ্ন: আমাদের সমাজে লোকজন অধিকাংশ সময় হুজুরদেরকে খতম পড়ার জন্য দাওয়াত করে আনে, খতম করার পর তাদেরকে খাওয়ায় এবং টাকা পয়সাও দেয়। এমন করা কি জায়েজ?

উত্তর: প্রচলিত খতমে কুরআন পাঠকারীদের খাবার খাওয়ানো এবং টাকা পয়সা দেওয়া বিদআত ও নাজায়েজ। এভাবে কুরআন তেলাওয়াত করার দ্বারা না পাঠকারী কোনো সওয়াব পায় আর না মৃতব্যক্তিরা।

ফাতাওয়া শামীতে রয়েছে- অর্থ: তাজুশ শরিয়াহ হেদায়াতে লিখেন, বিনিময় নিয়ে কুরআন পড়ার দ্বারা কোনো সওয়াবই হয় না। না মৃতব্যক্তি সওয়াব পায়, আর না তেলাওয়াতকারী।

আল্লামা আইনী হেদায়ার ব্যাখ্যাগ্রন্থে লেখেন, দুনিয়া তলব করার কারণে তেলাওয়াতকারীকে এমন তেলাওয়াত থেকে বারণ করা হবে। এভাবে তেলাওয়াত করার বিনিময় দেওয়া হলে গ্রহীতা ও দাতা উভয়ে গুনাহগার হবে।

মোটকথা, আমাদের সমাজে বিনিময় গ্রহণ করে কুরআন তেলাওয়াত করার যে রেওয়াজ চালু হয়েছে তা জায়েজ নয়। কারণ, এর মধ্যে খতমের আয়োজনকারী বা তার আত্মীয়ের জন্য সওয়াব পাঠানো উদ্দেশ্য হয় এবং তেলাওয়াতকারী তেলাওয়াত করে টাকার জন্য।

টাকার জন্য তেলাওয়াত করায় তেলাওয়াতকারী নিজে কোনো সওয়াব না পেলে ভাড়া গ্রহণকারীকে সওয়াব দেবে কোত্থেকে?

বর্তমান সময়ে কুরআন তেলাওয়াত করার বিনিময় না দিলে সাধারণত কেউ তেলাওয়াত করবে না। কুরআনকে তারা উপার্জন এবং দুনিয়া কামানোর মাধ্যম বানিয়ে ফেলেছে।  আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।  ইন্নালিল্লাহ। (ফাতাওয়া শামী ৬/৫৬)

দারুল উলুম দেওবন্দ, ফতোয়া নং: ১৮৩৬০১