ঢাকা , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি
আমরা সারা বাংলাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দিচ্ছি।
শিরোনাম
গ্যাংগ্রিন আক্রান্ত অলিয়ারের পাশে খালিশপুর থানা যুবদল। বকুলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা। খুলনা-৩ আসনে আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের অঙ্গীকার। রকিবুল ইসলাম বকুল। ছাত্রদল নেতা শাওনকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার। সত্য জানার ও পাশে দাঁড়ানোর আহবানঃ আমানউল্লাহ আমান। খানজাহান আলী থানা যুবদলের উদ্যোগে সড়ক পরিষ্কার কর্মসূচি রাকসুর ইতিহাসে প্রথমবার ভিপি পদে নারী প্রার্থী তাসিন খান আগামীর বাংলাদেশ ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে মুখোমুখি – খুলনা মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রুবেল। খানজাহানআলী থানার যোগিপোল ইউনিয়নে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন। মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: জাতীয় বার্ন থেকে ছাড়পত্র পেলেন শিক্ষিকা নিশি উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় কিডনির ওপর বাড়ে বাড়তি চাপ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি

শিশু মননে আলোর ফুল ফোটে ধর্মীয় শিক্ষায়

  • Reporter Name
  • প্রকাশিত : ০৭:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
  • ৮ বার পাঠ করা হয়েছে

ইসলামি শরিয়তে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা, নৈতিক উন্নয়ন, পারলৌকিক ও পার্থিব কল্যাণ, উত্তম গুণাবলি, তাকওয়া-তাহারাত, আত্মশুদ্ধি ও আদর্শ নৈতিকতা গড়ে তোলার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কুরআনুল কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন : ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর; যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফিরদের জন্য।’ (সূরা তাহরিম : ৬।)

হজরত আলী (রা.) এ আয়াতের তাফসিরে বলেন, ‘তোমরা সন্তানদের উত্তম শিষ্টাচার শিখাও।’ উম্মাহর ফকিহগণ এ ব্যাপারে একমত যে, ‘প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর ফরজ হলো, সে যেন তার স্ত্রী-সন্তানকে দ্বীনি ফরজ শিক্ষা, হালাল-হারামের বিধান এবং ইমানি দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে শিক্ষা দেয় এবং আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে।’

সন্তান গঠনের গুরুত্ব কতটুকু, তা আমরা রাসূল (সা.)-এর হাদিস থেকেও জানতে পারি। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, সাহাবায়ে কেরাম একবার জিজ্ঞেস করলেন : ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা তো পিতা-মাতার হক জানলাম; এখন বলুন, সন্তানের কী কী হক রয়েছে আমাদের ওপর?’ তিনি বললেন : ‘তাদের সুন্দর নাম রাখ এবং তাদের উত্তম শিক্ষা ও আদব শেখাও।’ (সুনানে বায়হাকী।) আরেক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, ‘কোনো বাবা তার সন্তানকে আদবের চেয়ে উত্তম কিছু দান করতে পারে না।’ (বুখারি।)

অর্থাৎ, সন্তানকে সুশিক্ষা ও শিষ্টাচার শেখানোই পিতার পক্ষ থেকে সন্তানের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার।

শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ স্থপতি। যদি তাদের সঠিকভাবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে সমাজের ভিত্তিই হয় দৃঢ় ও মজবুত। কারণ একটি ভালো গাছই ভবিষ্যতে দেয় ছায়া, ফুল ও ফলে ভরে ওঠে। তেমনিভাবে আজকের একটি শিশুই ভবিষ্যতে হয়ে উঠতে পারে মহান সমাজ সংস্কারক।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

গ্যাংগ্রিন আক্রান্ত অলিয়ারের পাশে খালিশপুর থানা যুবদল। বকুলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা।

শিশু মননে আলোর ফুল ফোটে ধর্মীয় শিক্ষায়

প্রকাশিত : ০৭:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫

ইসলামি শরিয়তে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা, নৈতিক উন্নয়ন, পারলৌকিক ও পার্থিব কল্যাণ, উত্তম গুণাবলি, তাকওয়া-তাহারাত, আত্মশুদ্ধি ও আদর্শ নৈতিকতা গড়ে তোলার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কুরআনুল কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন : ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর; যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফিরদের জন্য।’ (সূরা তাহরিম : ৬।)

হজরত আলী (রা.) এ আয়াতের তাফসিরে বলেন, ‘তোমরা সন্তানদের উত্তম শিষ্টাচার শিখাও।’ উম্মাহর ফকিহগণ এ ব্যাপারে একমত যে, ‘প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর ফরজ হলো, সে যেন তার স্ত্রী-সন্তানকে দ্বীনি ফরজ শিক্ষা, হালাল-হারামের বিধান এবং ইমানি দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে শিক্ষা দেয় এবং আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে।’

সন্তান গঠনের গুরুত্ব কতটুকু, তা আমরা রাসূল (সা.)-এর হাদিস থেকেও জানতে পারি। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, সাহাবায়ে কেরাম একবার জিজ্ঞেস করলেন : ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা তো পিতা-মাতার হক জানলাম; এখন বলুন, সন্তানের কী কী হক রয়েছে আমাদের ওপর?’ তিনি বললেন : ‘তাদের সুন্দর নাম রাখ এবং তাদের উত্তম শিক্ষা ও আদব শেখাও।’ (সুনানে বায়হাকী।) আরেক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, ‘কোনো বাবা তার সন্তানকে আদবের চেয়ে উত্তম কিছু দান করতে পারে না।’ (বুখারি।)

অর্থাৎ, সন্তানকে সুশিক্ষা ও শিষ্টাচার শেখানোই পিতার পক্ষ থেকে সন্তানের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার।

শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ স্থপতি। যদি তাদের সঠিকভাবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে সমাজের ভিত্তিই হয় দৃঢ় ও মজবুত। কারণ একটি ভালো গাছই ভবিষ্যতে দেয় ছায়া, ফুল ও ফলে ভরে ওঠে। তেমনিভাবে আজকের একটি শিশুই ভবিষ্যতে হয়ে উঠতে পারে মহান সমাজ সংস্কারক।