ঢাকা , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি
আমরা সারা বাংলাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দিচ্ছি।
শিরোনাম
গ্যাংগ্রিন আক্রান্ত অলিয়ারের পাশে খালিশপুর থানা যুবদল। বকুলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা। খুলনা-৩ আসনে আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের অঙ্গীকার। রকিবুল ইসলাম বকুল। ছাত্রদল নেতা শাওনকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার। সত্য জানার ও পাশে দাঁড়ানোর আহবানঃ আমানউল্লাহ আমান। খানজাহান আলী থানা যুবদলের উদ্যোগে সড়ক পরিষ্কার কর্মসূচি রাকসুর ইতিহাসে প্রথমবার ভিপি পদে নারী প্রার্থী তাসিন খান আগামীর বাংলাদেশ ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে মুখোমুখি – খুলনা মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রুবেল। খানজাহানআলী থানার যোগিপোল ইউনিয়নে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন। মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: জাতীয় বার্ন থেকে ছাড়পত্র পেলেন শিক্ষিকা নিশি উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় কিডনির ওপর বাড়ে বাড়তি চাপ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি
জাতীয় নির্বাচন সামনে

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্টে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্তের শঙ্কা

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করা কঠিন হবে। পাশাপাশি প্রত্যাশিত হারে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করাও কঠিন হবে। প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে উন্নত সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নত সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত সংস্কার নিশ্চিত করার ওপর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টি নির্ভর করছে। এছাড়া অর্থনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে আগামীতে তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এগুলো হচ্ছে-বৈশ্বিকভাবে সৃষ্ট বাণিজ্য উত্তেজনা, ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলে চলমান ও ভবিষ্যতে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জ্বালানিসহ অন্যান্য উপকরণ সরবরাহে বাধা ও জ্বালানি তেলের দামে অস্থিরতা।

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রোববার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ত্রৈমাসিক’ শীর্ষক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এটি প্রতি তিন মাস পরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জন্য সাড়ে ৫ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আগামী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। এর আলোকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের রূপরেখা প্রণীত হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, আগামীতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দেশে ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকায় ও ডলারের প্রবাহ বাড়ায় আমদানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। বৈশ্বিকভাবে আমদানি পণ্যের দাম কমেছে। এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। এ ধারা আগামীতেও যাতে অব্যাহত থাকে এজন্য কঠোর মুদ্রানীতি চলতি অর্থবছরেও অনুসরণ করা হচ্ছে। দেশের বাজারে পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে আগামীতে মূল্যস্ফীতির হারও আরও কমে আসবে। এ হার সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে নেমে আসতে পারে। মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশিত মাত্রায় কমে গেলে মুদ্রানীতির কঠোরতা কিছুটা শিথিল করা হবে। যাতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে সরকারি ট্রেজারি বিলের সুদের হার কমতে শুরু করেছে। আগামীতে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে এলে নীতি সুদের হার কমানো হবে। তখন ঋণের সুদের হারও কমবে।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

গ্যাংগ্রিন আক্রান্ত অলিয়ারের পাশে খালিশপুর থানা যুবদল। বকুলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা।

জাতীয় নির্বাচন সামনে

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্টে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্তের শঙ্কা

প্রকাশিত : ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করা কঠিন হবে। পাশাপাশি প্রত্যাশিত হারে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করাও কঠিন হবে। প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে উন্নত সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নত সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত সংস্কার নিশ্চিত করার ওপর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টি নির্ভর করছে। এছাড়া অর্থনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে আগামীতে তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এগুলো হচ্ছে-বৈশ্বিকভাবে সৃষ্ট বাণিজ্য উত্তেজনা, ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলে চলমান ও ভবিষ্যতে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জ্বালানিসহ অন্যান্য উপকরণ সরবরাহে বাধা ও জ্বালানি তেলের দামে অস্থিরতা।

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রোববার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ত্রৈমাসিক’ শীর্ষক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এটি প্রতি তিন মাস পরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জন্য সাড়ে ৫ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আগামী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। এর আলোকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের রূপরেখা প্রণীত হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, আগামীতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দেশে ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকায় ও ডলারের প্রবাহ বাড়ায় আমদানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। বৈশ্বিকভাবে আমদানি পণ্যের দাম কমেছে। এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। এ ধারা আগামীতেও যাতে অব্যাহত থাকে এজন্য কঠোর মুদ্রানীতি চলতি অর্থবছরেও অনুসরণ করা হচ্ছে। দেশের বাজারে পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে আগামীতে মূল্যস্ফীতির হারও আরও কমে আসবে। এ হার সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে নেমে আসতে পারে। মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশিত মাত্রায় কমে গেলে মুদ্রানীতির কঠোরতা কিছুটা শিথিল করা হবে। যাতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে সরকারি ট্রেজারি বিলের সুদের হার কমতে শুরু করেছে। আগামীতে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে এলে নীতি সুদের হার কমানো হবে। তখন ঋণের সুদের হারও কমবে।