প্রায় ১৩ বছর পর পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা বিলোপ চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও সহযোগিতার ভিত্তিতে’ বিদ্যমান ‘বহুমাত্রিক ও ঐতিহাসিক’ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে দুই পক্ষ। এক্ষেত্রে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগানোর ব্যাপারে উভয়পক্ষ একমত। ঢাকা ও করাচির মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুসহ অন্যান্য উপায়ে কানেকটিভিটি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়।
অমীমাংসিত ইস্যুতে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ‘ইস্যুটি ১৯৭৪ সালে একবার এবং ২০০০ সালে আরেকবার নিষ্পত্তি হয়েছে।’ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘তাদের মতো করে সমাধান হলে তো সমাধান হয়েই যেত। আমি অবশ্যই একমত নই। আমরা চাই, গণহত্যার জন্য তারা দুঃখপ্রকাশ করুন, মাফ চান। আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নিক।’